সোনাতলা সংবাদ ডটকম (কাহালু প্রতিনিধি): ধান-চাল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত বগুড়ার কাহালু উপজেলা। উপজেলা কৃষি অফিসার ও মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের সুষ্ঠ পরিকল্পনা এবং পরামর্শে এখন ধান চাষিরাও এখানে অনেক বেশী সচেতন। সংশ্লিষ্ট সুত্রমতে এখানে ধান গাছে ক্ষতিকর পোকামাকড় যাতে আক্রমন করতে না পারে তার জন্য উপজেলার বিভিন্ন মাঠ গুলো ২৮ ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে ৫ টি করে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। আলোক ফাঁদের লাইটের আলোয় মাঠের সব ধরনের পোকামাকড় এসো জড়ো হয়। সেই পোকামাকড় গুলো লাইটের নীচে রাখা পাত্রে এক সময় পড়ে যায়। সেখান থেকে চিহিৃত করা হয় ধান ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকামাকড় ও উপকারি পোকামাকড়ের পরিমান। ক্ষতিকর পোকার বংশ বিস্তার রোধের মতো উপকারি পোকা থাকে তাহলে কোনো প্রদক্ষেপ নিতে হয়না। আর যদি ক্ষতিকর পোকার পরিমান বেশী হয় সেই ক্ষেত্রে কৃষি অফিস চাষিদের সচেতন করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। ধান ক্ষেতের ক্ষতিকড় পোকামাকড় যাতে সহজে বাসা বাঁধতে না পারে তার জন্য আড়ানীর মতো করে গাছের ডাল অথবা বাঁশ টাঙ্গিয়ে পারচিং ব্যবস্থা নেয় চাষিরা। ঐসব গাছের ডালে এসে বসে পাখিরা। ধান ক্ষেতে ক্ষতিকর পোকামাকড় পাখিরা খেয়ে ফেলে। রাসায়নিক বা কীটনাষক ছাড়াই আলোক ফাঁদ ও পারচিং ব্যাবস্থার মাধ্যমে ধান ক্ষেত্রের ক্ষতিকর পোকামাকড় দমন করা খুবই সহজ। ধানের ক্ষতির পোকামাকড় ও রোগবালাই দমনের এই প্রদ্ধতিকে বলা হয় পরিবেশ বান্ধন প্রদ্ধতি। এই প্রদ্ধতিতে ধানের ফলনও অনেক বেশী হয়। সুত্রমতে অত্র উপজেলায় ধান ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকার মধ্যে রয়েছে মাজরা পোকা ও কিছু ফরিং। এই ক্ষতিকর পোকার ডিম খেয়ে ফেলে কিছু উপকারি পোকা। এখানে উপকারি পোকার মধ্যে রয়েছে মাকর্সা, লেডি ব্যার্ড বিটল ও ক্যারাবিট বিটল পোকা। সুত্রমতে চলতি মৌসুমে এখানে হাজার ৫০০ ক্টের জমিতে উপশি বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। আর এখানে মাত্র ৩০০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধানের চাষ করা হয়েছে। উপ-সহকারি কৃষি অফিসার তপন কুমার রায়, মাসুদ ও উপজেলা কৃষি অফিসার আখেরুর রহমান জানান, বোরো ধানের বীজতলা তৈরী থেকে রোপনসহ এখন পর্যন্ত আমরা চাষিদের পাশে থেকে সব ধরনের পরামর্শ এবং সহযোগীতা করছি। যারফলে এখানে ধান ক্ষেতে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার রোগবালাই নেই। তারা আশা প্রকাশ করেছেন প্রকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে গত বছরের চেয়ে এবছর বোরো ধানের ফলন অনেক ভালো হবে।
Leave a Reply