সোনাতলা সংবাদ ডটকম (মুনসুর রহমান তানসেন, কাহালু): কাহালু উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পুরাকৃর্তির বহু নিদর্শন। সেই পূরাকৃর্তির নিদর্শন গুলো কোনো কোনো স্থানে একেবারে ধ্বংস হয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে আবার কোথাও আবার মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে। ধ্বংস নীলা আর প্রকৃতির ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যেও এখনো কালের নীরব সাক্ষী হয়ে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে আছে অত্র উপজেলায় পুরাকৃর্তির বহু নিদর্শন। মাটির নীচে চাপা পড়ে গেছে। আবার কোথাও রয়েছে পুরাকৃর্তির ধ্বংসাবশেষ। তেমনই প্রাচীন ঐতিহ্যের এক নীরব সাক্ষী কাহালু থানায় বিটিশ আমলের পানির একটি ইন্দারা। কাহালু উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আঃ আজিজসহ প্রবীণজনদের তথ্য মতে বগুড়া জেলার অন্যতম একটি থানা কাহালু। প্রাচীনকালে ও বিটিশ আমলে এই অঞ্চলের মানুষের খাওয়ার অথবা গৃহণীদের কাজে ব্যবহারের জন্য পানির উৎস্য ছিলো জলাশ্বয় অথবা কুয়া। আর সরকারি বড় অফিস অথবা ধনী পরিবারের পানির উৎস্য ছিলো কুয়ার চেয়ে উন্নত ইন্দারা। তথ্যমতে এখানে পুলিশ স্টেশনের জন্য বিটিশ সরকারের আমলে এই ইন্দারাটি নির্মিত হয়। জানা গেছে এই ইন্দারা অনেক গভীর ছিলো। ইন্দারার উপরে দড়ি বাধাঁ থাকতো। যারা পানি নিয়ে দড়ির বাঁধন খুলে বালতিতে দড়ি বের্ধে ইন্দারা থেকে পানি তুলে নিয়ে যেতো। এখান থেকে খাওয়ার পানি, গৃহনীর কাজে ব্যবহারের পানি নেওয়াসহ অনেকে ইন্দারার পানি দিয়ে গোসলও করতেন। কালের বিবরর্তে কাহালু থানার এই ইন্দারাটি ভরাট হয়ে গেছে। তবে উপরের অংশের নির্মাণশৈলী মোটামুটি ঠিকই আছে। নির্মাণশৈলীর কিছুটা চলটা উঠে গেছে। তবে আগের মতো নেই ইন্দারার কোনো কার্যকারিতা। পানির বদলে মাটি দিয়ে ভরে গেছে পুরো ইন্দারা। অনেকের মত্যে কাঠামো যখন ঠিক রয়েছে তখন আগের মতো জৌলস ফিরে আনা সম্ভব এই ইন্দারার।
Leave a Reply