সোনাতলা সংবাদ ডটকম (বগুড়া প্রতিনিধি): বগুড়ার গাবতলীতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করাকে কেন্দ্র করে ২পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এছাড়া নানা অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার লিপিসহ অন্যান্য শিক্ষকদের অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের খুপি দক্ষিনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গত ২৮মার্চ খুপি গ্রামের নিউ লাইফ ক্লাবের উদ্যোগে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে এক পক্ষ অভিযোগ তুললে উভয় পক্ষে মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হলে চরম হট্টগোল সৃষ্টি হলে সোহেল (২২) নামের এক ব্যক্তি মারপিটের শিকার হয়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়। অপর দিকে গত শনিবার ঘটনাটি নিয়ে আবারো উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় তারা লাঠি-সোটাসহ দেশী অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এমন সময় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার লিপি অটোযোগে আসার পর এক পক্ষের লাঠি-সোটাসহ দেশী অস্ত্র গুলো মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও করতে থাকে। অপর পক্ষ লিপির সহোদর মামাদের আড়াল করতে তিনি (লিপি) পক্ষ নেন বলে অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনার পর এলাকাবাসির মধ্য আরো উত্তেজনা বেড়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার লিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন দিয়ে সহযোগিতা চান। এর প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিও) ইদ্রিস আলী প্রামানিক এবং থানা পুলিশ। তাঁদের উপস্থিতে এলাকাবাসি নানা অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার লিপিসহ অন্যান্য শিক্ষকদের অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। এর এক পর্যায়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের আশ^াস দিলে ওই সময় পরিস্থিতি শান্ত হলেও এখনো টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন সচেতন মহল। অপর দিকে ঘটনার প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার লিপিসহ অন্যান্য শিক্ষকদের শাস্তি ও অপসারণের দাবীতে গতকাল সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক ও এলাকাবাসি এই অভিযোগটি দায়ের করেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আলেক উদ্দিন কালুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কোন অশ্লীল নৃত্য হয়নি। তবে খুপি দক্ষিনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার লিপির কারনে ঘটনাটি বড় আকার ধারন করছে। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিও) ইদ্রিস আলী প্রামানিকের সাথে কথা বললে তিনি উত্তেজনা পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার লিপি ভিডিও করার কারনে উত্তেজনা বেড়ে গিয়ে ছিল। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার লিপি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষক নেতার সাথে বললে তাঁরা জানান, কামরুন্নাহার লিপির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের খবর পাওয়া যায়। তাছাড়া বেদব হিসেবেও বেশ পরিচিত রয়েছে লিপি ম্যাডাম।
Leave a Reply