সোনাতলা সংবাদ ডটকম (বগুড়া প্রতিনিধি): বগুড়ার গাবতলীতে বখাটে তরিকুল ইসলাম তরি ও তার সহযোগি কর্তৃক কলেজ ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীর পিতা আওয়ামী লীগ নেতা ফুলমিয়াকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করার প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসীদের অবিলম্ভে গ্রেফতারের দাবীতে প্রতিবাদ সভা ও মানব বন্ধন কর্মসুচী পালন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠন এবং এলাকাবাসির উদ্যোগে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এই কর্মসুচী পালন করা হয়। সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রাঙ্গা, দুলাল করিম দুলাল, জাহাঙ্গীর আলম, মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন টুকু, সাব্বির হাসান জাফরু পাইকার, মন্টু মিয়া, ডাঃ শাহাদৎ হোসেন, জহুরুল ইসলাম, আঃ রহমান বাবলু, নান্নু মিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদ আল হাসান জুয়েল, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাকিল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদ মমিনুল হক মুক্তার, ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি আবু হায়াত সুইট, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী, ইউপি মেম্বার শাহাদৎ হোসেন গামা, শফিকুল ইসলাম পাশা, আলেক উদ্দিন কালু, শ্যামল, এলাকাবাসির মধ্যে জাহিদুল মেম্বার, ডাঃ ফটু বাবলা, ফজর আলী, রবিউল প্রমূখ। বক্তগণ বখাটে তরিকুল ইসলাম তরিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীদের অবিলম্ভে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান।
উল্লেখ্য, উপজেলার খুপি গ্রামের মৃত আলেক উদ্দিনের ছেলে ইট ভাটা ব্যবসায়ী ও সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফুলমিয়ার কন্যা সুখানপুকুর সৈয়দ আহম্মদ কলেজে প্রথম বর্ষে একাদশ শ্রেনীতে লেখা পড়া করে। একই গ্রামের প্রতিবেশী ও সোনারায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত বখাটে তরিকুল ইসলাম তরি ওই ছাত্রীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতো। পরে প্রেমের প্রস্তাব দিলে রাজি না হওয়ায় তার পিতা ফুলমিয়াকে জানালে পরে ঘটনাটি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় এবং বখাটে তরিকুল ইসলাম তরিকেও নিষেধ করা হয়। যে কারনে তরি ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পনা করে কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে গত ২আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যার পূর্বে প্রকাশ্যে দিবালোকে জামিরবাড়িয়া হাটের মধ্যে ফুলমিয়াকে একা পেয়ে এলোপাতারী চাকু ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। ফুলমিয়া এখনো বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনার পরের দিন আহত ফুলমিয়ার ছেলে আমির হোসেন বাদী হয়ে বখাটে তরিকুল ইসলাম তরিকে প্রধান আসামী করে ৪জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭/৮জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করলেও অজ্ঞাত কারনে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। অন্যান্য আসামীরা হলো তরির ভাই তারাজুল মোল্লা ছাড়াও আঃ গফুর মোল্লা ও শহিদুল মোল্লা।
Leave a Reply