মুহাম্মাদ আবু মুসাঃ বগুড়ার গাবতলীতে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে হাটের মধ্য ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেদ্র করে উভয় পক্ষের মধ্য চাপা ক্ষােভ উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা¯ল পরিদর্শন করেছে। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যা রাতে উপজলার সােনারায় ইউনিয়নের আটাপাড়া হাট-বাজারে ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে, সােনারায় গ্রামের আব্দুল মজিদ মন্ডলের ছেলে আনােয়ার হােসেন এর নিকট থেকে আটাপাড়া সােনারায় গ্রামের আকবর আলী প্রামানিকের ছেলে আমিনুর ইসলাম প্রায় ৪০হাজার টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবী করে। বেশ কিছু দিন অতিবাহিত হলেও উক্ত টাকা না পাওয়ায় গত শনিবার আনােয়ার হােসেনের মােটর সাইকেল অন্য একজন নিয়ে আটাপাড়া হাট-বাজার আসলে মােটর সাইকলটি দেখে আটক রেখে দেয় আমিনুর ইসলাম ও তার লােকজন। আনােয়ার হােসেন ও তার (আমিনুর) কাছ থেকে টাকা পাবে বলে দাবী করে সন্ধ্যায় মােটর সাইকলটি উদ্ধারের জন্য সােনারায় থেকে আনােয়ার হােসেন দলবদ্ধ হয়ে আটাপাড়া হাট-বাজার আসে। আমিনুর ইসলাম তার আতীয়দের নিয়ে ওই হাট-বাজার প্রতিদিন গরু গােস্ত বিক্রি করে। যে কারনে তাদের কাছে গােস্ত কাটার জন্য দা, চাকু থাকেই। তাই আনােয়ার হােসেন দলবদ্ধ হয়ে আটাপাড়া হাট-বাজার আসার সাথেই কােনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই উভয় পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে গুরুত্বর আহত হয় ওই সােনারায় গ্রামের আব্দুল মজিদ মন্ডলের ছেলে আনােয়ার হােসেন (৩৫), আবুল কালাম আজাদের ছেলে কামরুল ইসলাম (২৮), সামছুল হকের ছেলে আজম খান (৩৫), কাজল খান (৩৭), আব্দুর রাজ্জাক মন্ডলের ছেলে সুজন আহম্মদ (২৫), তােতা আকন্দের ছেলে সুলতান আহম্মদ (৩২), আব্দুর রশিদ কাজীর ছেলে রিফাত কাজী (১৯)। এ ছাড়া প্রতিপক্ষ আটাপাড়া সােনারায় গ্রামের আকবর আলীর ছেলে আমিনুর ইসলাম (২৪), খােরশেদ আলমের ছেলে মন্জু মিয়া (২৫), বিপ্লব মিয়া (১৬), সােনারায় গ্রামের মৃত আঃ লতিফ রহমত উল্লাহ প্রামানিকের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৪৮) আহত হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। আহত জহুরুল ইসলাম জানান, আনােয়ার হােসেন দলবদ্ধ হয়ে ধারালাে অস্ত্র ও লাঠি সােটা নিয়ে অর্তকিতভাব হামলা চালালে আমরা প্রতিরােধ করি। এ সময় গােস্ত বিক্রি করার ৮০হাজার টাকা খােয়া যায়। আহত আনােয়ার হােসেনসহ অন্যান্যরা জানান, আমিনুররা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ধারালাে অস্ত্র ও লাঠি সােটা নিয়ে আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে গুরুত্ব রক্তাক্তভাবে আহত করে। এ রির্পােট লেখা পর্যÍ থানায় কােন পক্ষের মামলা হয়নি। এ ব্যাপারে থানার ইন্সপেক্টর (তদÍ) ও দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আনােয়ার হােসেন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনা¯ল পুলিশ পাঠানাে হয়েছিল, এখনাে কােনও পক্ষ মামলা দেয়নি। তবে মামলা দিলে যথাযথভাবে ব্যব¯া নেয়া হবে।
Leave a Reply