সোনাতলা সংবাদ ডটকম (গাবতলী প্রতিনিধি): বগুড়ার গাবতলীতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদী ও ভুগভ্যস্থ্য থেকে বালু উত্তোলনের কারনে ভ্রাম্যমান আদালত একটি শ্যালো মেশিন আগুনে ভস্মিভুত করে দিয়েছে। নাড়–য়ামালা এলাকায় স্থানীয় ইছামতি নদী থেকে শফিকুল ইসলাম নামের এক অবৈধ বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘ দিন থেকে ড্রেজার ও শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিল। ২১ মে ২০১৯ তারিখ মঙ্গলবার গাবতলী সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালমা আক্তার’র নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমান আদালত দুপুর ২ টায় অভিযান চালায়। ভ্রাম্যামান আদালতের উপস্থিতি টেরপেয়ে বালু ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায়। সালমা আকাতারের নির্দ্দেশে ভ্রাম্যমান আদালতের সহযোগীরা ড্রেজার ও শ্যালো মেশিনটিতে আগুন ধরিয়ে ভস্মিভুত করেদেয়। এছাড়া নাড়–য়ামালা হাটের সীমানা নির্ধারন ও হাটের অবৈধ দখলদার চিহিৃত করতে হাট পরিদর্শন করেন সহকারী কমিশনার (ভূুমি) সালমা আক্তার। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গাবতলীতে কোথাও বালু মহাল নেই, নাড়–য়ামালা এলাকায় ইছামতি নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে এমন সয়বাদ পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত সেখানে অভিযান চালায়। আদালতের উপিস্থিতি টেরপেয়ে মালিক পালিয়ে যাওয়ায় তার মেশিনটি আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আরো জানান, উপজেলার মধ্য যারাই অবৈধভাবে বালু তোলার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে। সহকারী কমিশনার (ভূুমি) সালমা আক্তার আরো জানান, নাড়–য়ামালা হাটে সরকারী জায়গায় যে সকল ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ঘর উত্তোলন করে দখল করে আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তার আগে হাটের সীমানা নির্ধান করে মাপযোগ করাহবে। রোজার ঈদের পর এ অভিযান চলবে। যাদের ঘর হাটের সিমানায় প্রবেশ করেছে তারা স্বেচ্ছায় স্থাপনা সড়িয়ে না নিলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। তিনি নাড়–য়ামালা তহশিল অফিস পরিদর্শন করেন। এসময় উপজেলা ভুমি অফিস সহকারী বিজল কুমার দাস, নাড়–য়ামালা ইউনিয়ন তহশিলদার আব্দুল হান্নানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply