সোনাতলা সংবাদ ডটকম (গাবতলী প্রতিনিধি): বগুড়ার গাবতলী নাড়–য়ামালাহাটে ৪০ বছরের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালমা আক্তারে’র সহায়তায় ম্যাজিষ্ট্রেট জহুরুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১ হতে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরুহয় চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালমা আক্তার জানান, গাবতলী পৌরসভার অধিন নাড়–য়ামালা হাটে দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেনীর ব্যাক্তি প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে সরকারী জায়গায় কাঁচা-পাকা স্থাপনা তৈরী করে দখল করে আসছিল। তাদেরকে বারবার নোটিশ দেয়া সত্বেও তারা তাদের স্থাপনা সড়িয়ে না নিলে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। নাড়–য়ামালা হাটে শতাধিকেরও বেশী অবৈধ স্থাপনা এসকে ভেটার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। নাড়–য়ামালা হাটে দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছরের অবৈধ স্থাপনা এই প্রথম উচ্ছেদ হওয়ায় সাধারন হাটুরেরা ভীষন খুশি হয়েছেন। তারা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালমা আক্তারকে সাহসিকতার ভূয়শি প্রসংসা করেছেন। পৌরসভার মেয়র সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে নাড়–য়ামালা হাটে অবৈধ স্থাপনা কারীদের বারবার নোটিশ দিলেও তাদের স্থাপনা সড়িয়ে না নেয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল ওয়ারেছ আনছারী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালমা আক্তার হাটের মাপযোগ করে সরকারী জায়গা নির্ধারন ও ম্যাপ তৈরী করেন। সে মোতাবেক এ অভিযান চালানো হয়। নাড়–য়ামালা হাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করায় মেয়র সাইফুল ইসলাম প্রশাসনকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ম্যাজিষ্ট্রেট জহুরুল ইসলাম তাকে সহায়তা করেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালমা আক্তার, সার্ভেয়ার বাবুল আনছারী সরকার, ভুমি অফিস সহকারী বিজল কুমার দাস, পৌর সার্ভেয়ার শাহিন, মডেল থানার এস আই কান্তি কুমার মোদক, এসএসআই মনিরসহ সঙ্গীয় ফোর্স। অতিশিঘ্রই বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের তরনীহাটে অবৈধ সস্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলানো হবে বলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালমা আক্তার জানিয়েছেন।
Leave a Reply