সোনাতলা সংবাদ ডটকম (স্টাফ রিপোর্টার): বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পল্লীতে বন্যা আকতার নামের এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী এবং ওই বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে বন্যা আকতার (২০) এর সাথে পার্শ্ববর্তী দিগদাইড় ইউনিয়নের চারালকান্দী (বালুঘাটি) গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে পিস্তুুল মিয়ার ৪/৫ বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তারা দু’জন বিয়ে করে ঘর বাঁধে। এরপর তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটছিল।
এরই এক পর্যায়ে গত সোমবার দিবাগত রাতে ওই দম্পত্তি রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে আজ মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় লোকজন ওই গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ ঘরে দেখতে পায়। বিষয়টি থানা পুলিশে অবগত করলে থানা পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী পিস্তুুল এবং ওই বাড়ির লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে।
এ বিষয়ে নিহত বন্যা আক্তারের আত্মীয়স্বজন জানান, গৃহবধু বন্যাকে যৌতুক লোভী স্বামী পিস্তুুল শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখতে পারে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা অবধি মামলা দায়েরের প্রস্তুুতি চলছিল।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার উপপরিদর্শক মহিউদ্দিন জানান, নিহত গৃহবধু বন্যা আকতারের গলায় রশির দাগ দেখা গেছে।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিহত বন্যা আক্তারের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই বিষয়টি পরিস্কার হবে।
Leave a Reply