আব্দুর রাজ্জাক,স্টাফ রিপোর্টারঃ ২৩ মে সোমবার বগুড়ার সোনাতলা পৌর এলাকার সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন পরিত্যাক্ত সিনেমা হলের তিন তলা ছাদে পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্ট বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মাদরাসা পড়ুয়া ইউসুফ (১১) নামে এক কিশোরের মৃত্যূ হয়েছে। ইউসুফ গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা এলাকার মোনোয়ার হোসেনের ছেলে। ঘটনাসুত্রে জানা যায়, গত রমজান ঈদে ইউসুফের মা দূর্ঘটনায় মারা যান। বাবা রয়েছে জেল হাজতে, তাকে লালন পালন করার কেহ না থাকায়। বগুড়া জেলার সোনাতলা পৌর এলাকার আগুনিয়াতাইড় (ছয়ঘড়িয়াপাড়া) গ্রামের মামা মোস্তাফিজার রহমান তার বাড়িতে নিয়ে আসে। তার পর থেকে মামার বাড়িতেই থাকত। গত ২১মে শনিবার ইউসুফের মামী পৌর এলাকার গরফতেপুর এতিম খানায় ভর্তির জন্য যায়। প্রয়ােজনীয় কাগজ পত্র না থাকায় ভর্তির বিলম্ব হয়। এপর্যন্ত ইউসুফ এতিম খানায় থাকে। ২৩মে সোমবার বেলা ১২টার দিকে এতিমখানা থেকে ব্যাগে কাপড় গুছিয়ে নিয়ে প্রয়ােজনীয় কাগজ আনতে তার মামার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দুপুর ১টার সময় এক পথিক স্থানীয় সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন পরিত্যাক্ত সিনেমা হলের তিনতলায় পল্লী বিদ্যুতের তারে ধুমা উরতে দেখতে পায়। সেখানে উৎসুখ জনতা ভিড় জমায়। পড়ে স্থানীয়রা বিদ্যুৎ অফিসে এবং ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ওই পরিত্যাক্ত ছাদে উঠে দেখতে পায় ১১বছরের একটি ছেলে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে আছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে আনে।
স্থানীয়রা ধারনা করছে ওই বিল্ডিয়ের সাথে কয়েকটি সুপারী গাছে সুপারী পেকে আছে। সুপারী পাড়ার উদ্দেশ্যে সে ছাদে উঠে তারে জড়িয়ে মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা সাথে কথা বললে তিনি জানান, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা অব্দি লাশটি থানায় দেখা গেছে।
Leave a Reply