সোনাতলা সংবাদ ডটকম (বদিউদ-জ্জামান মুকুল, সোনাতলা): বগুড়ার সোনাতলায় শীত মৌসুমের শুরু থেকেই বিভিন্ন এলাকায় পিকনিক পাটির সাউন্ড সিস্টেমের শব্দে স্ব স্ব এলাকার মানুষের ঘুম হারাম হচ্ছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগিরা পুলিশ প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
চলতি শীত মৌসুমের শুরু থেকেই বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এলাকার তরুন ও যুবকরা পিকনিকের নামে রাতভর উচ্চ শব্দে সাউন্ট সিস্টেম ও মাইক বাজিয়ে আনন্দে মাতোহারা হচ্ছে। এমনকি সেই পিকনিক স্পটগুলোতে পিকনিকের নামে ভাড়া করে নারীদের এনে নাটকের নামে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করছে। এমনকি ওই তরুন যুবকরা রাতভর নেশার সাগরে ডুবে থাকছে।
রাত ৯টা থেকে শুরু করে ভোর রাত পর্যন্ত উচ্চ শব্দে সাউন্ড সিস্টেম চালু রাখায় এলাকাবাসীদের ঘুম হারাম হচ্ছে। অন্যদিকে অসুস্থ লোকজন আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আর মাত্র ২০ দিন পর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। উচ্চ শব্দে মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম বাজানোর ফলে পরীক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকার উশৃঙ্খল তরুন যুবকরা পিকনিকের নামে দিনের পর দিন রাতে এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ায় ওই উপজেলার মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে মিলনের পাড়ার শামছুল হক, হাটকরমজা এলাকার আব্দুল করিম সোবাহান, পোড়াপাইকর এলাকার সাজু মিয়া, পাকুল্লা এলাকার বেল্লাল মাষ্টার, তেকানী এলাকার জাহিদুল ইসলাম, মধুপুর এলাকার শামচুন নাহার, বালুয়া এলাকার পারভীন আকতার, কর্পূর এলাকার সুফিয়া বেগম জানান, ওই সকল যুবক সমাজ কেউ কারও কথা মানছে না। তারা তাদের কর্মকান্ড নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি কেউ রাতে উচ্চ শব্দে মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম বাজানোর প্রতিবাদ করলে পাল্টা তার উপর চড়াও হচ্ছে ওই সকল যুব সমাজ।
এ বিষয়ে কথা হয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধির সাথে। তারা জানান, আজকাল সন্তান পিতার কথা অমান্য করে। গুরুজন মানছে না। জনপ্রতিনিধিরাও যেন তাদের কাছে জিম্মি। এ সকল কর্মকান্ডের প্রতিকার হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী জানান, এ ধরনের কয়েকটি পিকনিক স্পট থেকে সাউন্ড সিস্টেম আটক করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রতি রাতে পুলিশের টহল পাটি বিভিন্ন এলাকা ও রাস্তায় টহল দেয়। কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply