সোনাতলা সংবাদ ডটকম (বদিউদ-জ্জামান মুকুল, সোনাতলা): বগুড়ার সোনাতলায় বানভাসীদের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের নির্দেশে উপজেলা চেয়ারম্যান এড. মিনহাদুজ্জামান লীটন এক ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে। গত দু’দিনে ওই উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও পানিবন্দি হওয়া প্রায় ৮ হাজার মানুষের মাঝে ১২ হাজার খিচুরীর প্যাকেট বিতরণ করেছে। বন্যার্তরা বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত এ কার্যক্রম বলবৎ থাকবে।
গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল শুক্রবার বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার তেকানীচুকাইনগর ও পাকুল্লা ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ও চলাঞ্চলে পানিবন্দি হওয়া প্রায় ৮ হাজার পরিবারের সদস্যদের মাঝে প্রায় ১২ হাজার প্যাকেট খিচুরী বিতরণ করেছে।
বন্যার্তরা যাতে না খেয়ে রাত্রি যাপন করে এজন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তার নির্দেশনা মোতাবেক গত বৃহস্পতিবার থেকে এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। স্থানীয় মধুপুর ইউনিয়নের হরিখালী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অসীম কুমার জৈনকে প্রতিদিনের খিচুরী পাকের দায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার প্যাকেট করতে প্রায় ২০ মন চাল লাগছে। এছাড়াও খিচুরীতে আলু ও সোলা বুট থাকছে। প্রতিদিনের ব্যয় নির্বাহ করে চলছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান।
বানভাসী মানুষগুলো যখন পরিবার পরিজন নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে ঠিক সেই মুহুর্তে খিচুরীর প্যাকেট পেয়ে বেজায় খুশি বানভাসী মানুষগুলো। উপজেলা চেয়ারম্যান নিজে ওই প্যাকেটগুলো নিয়ে রাতের অন্ধকারে সেই মাথাগোঁজার ঝুঁপড়ি গুলোতে হাজির হচ্ছে। এ সময় তার সাথে উপস্থিত থাকছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিকুর আলম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, ওসি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী, সংশ্লিষ্ট ইউপি‘র চেয়ারম্যানগণ, দলীয় নেতৃবৃন্দ। এতে করে বানভাসী মানুষগুলোর মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে পাকুল্লা এলাকার জরিনা বেওয়া (৭০), মধুপুর এলাকার জহির উদ্দিন (৯৫) জানান, এটি একটি ব্যতিক্রম ধর্মী উদ্যোগ। ইতিপূর্বে কখনও কোন সরকারের শাসনামলে এটি করা হয়নি।
Leave a Reply